📚 বাংলা সাহিত্য - সমৃদ্ধ ঐতিহ্য

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)

বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিক। ১৯১৩ সালে "গীতাঞ্জলি" কাব্যগ্রন্থের জন্য এশিয়ার প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ২০০০+ গান, ১০০+ কবিতার বই, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক রচনা করেছেন। "আমার সোনার বাংলা" বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।

কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬)

বিদ্রোহী কবি ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি। "বিদ্রোহী" কবিতা বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি। ৩০০০+ গান রচনা করেছেন। সাম্য, মানবতা ও স্বাধীনতার কবি। "চল চল চল" বাংলাদেশের রণসংগীত।

জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)

আধুনিক বাংলা কবিতার পথিকৃৎ। "বনলতা সেন" তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা। প্রকৃতি ও রূপসী বাংলার কবি। গভীর দার্শনিক ভাবনার কবিতা লিখেছেন।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪)

বাংলা উপন্যাসের জনক। "আনন্দমঠ" উপন্যাসে "বন্দে মাতরম" গান রচনা করেন। "দুর্গেশনন্দিনী", "কপালকুণ্ডলা" বিখ্যাত উপন্যাস।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)

জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক। "দেবদাস", "শ্রীকান্ত", "পথের দাবী", "চরিত্রহীন" অমর সৃষ্টি। সমাজের নিম্নবর্গের মানুষের কথা তুলে ধরেছেন।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩)

বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। "মেঘনাদবধ কাব্য" মহাকাব্য রচনা করেন। আধুনিক বাংলা কবিতার পথপ্রদর্শক।

হুমায়ূন আহমেদ (১৯৪৮-২০১২)

আধুনিক বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক। ২০০+ উপন্যাস, গল্প, নাটক লিখেছেন। "হিমু", "মিসির আলি" চরিত্র অত্যন্ত জনপ্রিয়। চলচ্চিত্র নির্মাতাও ছিলেন।

সৈয়দ মুজতবা আলী (১৯০৪-১৯৭৪)

রম্য সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক। "দেশে বিদেশে" ভ্রমণ কাহিনী বিখ্যাত। হাস্যরসাত্মক লেখার জন্য পরিচিত।

বেগম রোকেয়া (১৮৮০-১৯৩২)

নারী জাগরণের অগ্রদূত। "সুলতানার স্বপ্ন" নারীবাদী সাহিত্যের অন্যতম নিদর্শন। নারী শিক্ষার জন্য আজীবন কাজ করেছেন।

আধুনিক সাহিত্য

বর্তমানে বাংলাদেশে হাজারো লেখক সাহিত্য চর্চা করছেন। একুশে বইমেলায় প্রতি বছর হাজারো নতুন বই প্রকাশিত হয়। বাংলা সাহিত্য এখনও সমৃদ্ধ ও প্রাণবন্ত।