রয়েল বেঙ্গল টাইগার
৪০০+ বাঘের আবাসস্থল
UNESCO ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ
১৯৯৭ সালে স্বীকৃত
ম্যানগ্রোভ বন
১০,০০০ বর্গ কিমি
জীববৈচিত্র্য
৩৫০+ প্রজাতির প্রাণী
৪০০+ বাঘের আবাসস্থল
১৯৯৭ সালে স্বীকৃত
১০,০০০ বর্গ কিমি
৩৫০+ প্রজাতির প্রাণী
সুন্দরবন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিস্তৃত বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। বাংলাদেশ অংশে প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায় এর অবস্থান।
সুন্দরবন রয়েল বেঙ্গল টাইগারের প্রধান আবাসস্থল। এখানে প্রায় ৪০০-৪৫০টি বাঘ রয়েছে। এই বাঘগুলো সাঁতার কাটতে পারদর্শী এবং লবণাক্ত পানিতে বসবাস করতে সক্ষম। সুন্দরবনের বাঘ অন্যান্য বাঘের চেয়ে আকারে ছোট কিন্তু অত্যন্ত শক্তিশালী।
স্তন্যপায়ী: রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, বন্য শূকর, উদবিড়াল, বানর, ডলফিন।
সরীসৃপ: কুমির, অজগর, গুইসাপ, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ।
পাখি: ৩০০+ প্রজাতির পাখি - কাঠঠোকরা, মাছরাঙা, বক, সারস, ঈগল।
সুন্দরবনে প্রায় ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। প্রধান গাছ - সুন্দরী, গেওয়া, গরান, কেওড়া, পশুর। সুন্দরী গাছের নাম থেকেই সুন্দরবন নামের উৎপত্তি।
সুন্দরবনে অসংখ্য নদী ও খাল রয়েছে। প্রধান নদী - পশুর, বলেশ্বর, শিবসা, রায়মঙ্গল। জোয়ার-ভাটার প্রভাবে এই নদীগুলোর পানির উচ্চতা পরিবর্তিত হয়।
সুন্দরবন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। প্রতি বছর লক্ষাধিক পর্যটক এখানে আসেন। প্রধান আকর্ষণ - বাঘ দেখা, হরিণ দেখা, কুমির দেখা, পাখি পর্যবেক্ষণ, নৌভ্রমণ।
কটকা সুন্দরবনের একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্পট। এখানে একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে যেখান থেকে হরিণ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী দেখা যায়। কচিখালী সৈকত সুন্দরবনের একমাত্র সৈকত।
হিরণ পয়েন্ট বা নীলকমল সুন্দরবনের আরেকটি জনপ্রিয় স্থান। এখানে প্রচুর চিত্রা হরিণ দেখা যায়। একটি ওয়াচ টাওয়ার থেকে বনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
করমজল একটি কুমির প্রজনন কেন্দ্র। এখানে কুমির, বানর, হরিণ দেখা যায়। পর্যটকদের জন্য কাঠের তৈরি ওয়াকওয়ে আছে।
১৯৯৭ সালে UNESCO সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা।
জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি সুন্দরবনের জন্য হুমকি। বাংলাদেশ সরকার সুন্দরবন সংরক্ষণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।